কানাডার জাতীয় নির্বাচনে রীতিমতো উলটপালট—লিবারেল পার্টি বিপুল ভোটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। ৩৪৩টি আসনের মধ্যে ১৭২টির বেশি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে দলটি। ভোটের হিসাবে প্রায় ৬৪ শতাংশ সমর্থন।
নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দলের নেতা ও সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর মার্ক কার্নি।
জয়ের পর এক আবেগঘন ভাষণে কার্নি বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার মালিকানা নিতে এবং আমাদের বিভক্ত করতে চেয়েছেন, কিন্তু তা কখনোই সম্ভব হবে না। কানাডার জনগণ ঐক্যবদ্ধ ও অটল।”
নির্বাচনের আগেই ট্রাম্প তার স্বভাবসিদ্ধ বিতর্কে আগুন দেন। কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর প্রস্তাব, শুল্ক আরোপের হুমকি—সব মিলিয়ে কানাডীয়দের মধ্যে প্রবল দেশপ্রেম তৈরি করে। এই আবেগকেই কাজে লাগিয়েছে লিবারেল পার্টি।
জনপ্রিয়তা বাড়ে হু হু করে। আর শেষ পর্যন্ত, নিরঙ্কুশ জয়।
এর আগে জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন জাস্টিন ট্রুডো। এরপরই দলে আসেন নতুন নেতৃত্ব—ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর মার্ক কার্নি।
কনজারভেটিভ নেতা পিয়েরে পোয়েলিয়েভ্রে পরাজয় মেনে নিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটিই কানাডার রাজনীতিতে সবচেয়ে নাটকীয় এক মোড়। একদিকে ট্রাম্পের চাপ, অন্যদিকে কানাডার উত্তপ্ত আবেগ—সবকিছুকে ছাপিয়ে এবার দেশ চালাবেন অর্থনীতিবিদ মার্ক কার্নি।